শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:৫১

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
কাশিপুরে মাদকের বিষ ছড়িয়ে পুলিশের ধরাছোয়ার বাহিরে মাদক ব্যাবসায়ীরা

কাশিপুরে মাদকের বিষ ছড়িয়ে পুলিশের ধরাছোয়ার বাহিরে মাদক ব্যাবসায়ীরা

dynamic-sidebar

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সাঁড়াসী অভিযানের মধ্যেও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে নগরীর বেশ কয়েকজন চহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। অথচ দেশ ব্যাপি মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর পূর্বেও মহানগরী সহ গোটা দক্ষিনঞ্চলের মাদক ব্যাবসা নিয়ন্ত্রনে ছিলো তাদের। ইয়াবার সাথে এমন লোকজন জড়িত রয়েছে যাদের দেখলে কেউই বুঝবে না যে এরা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মাদকের স্বর্গযরাজ্য গড়ে তুললেও পুলিশ প্রশাসন কোন ভাবেই তাদেরকে আটক করেননি। অবশ্য প্রকাশ্য দিবালোকে মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলা ওই মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশ-প্রশাসনকে মাসোয়ারা দিয়েই ব্যবসা পরিচালনার করে আসছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমতাঅবস্থায় ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েছে কাশিপুর ইছাকাঠী এলাকার পলাশ ওরফে লাইটিং পলাশ, তার স্ত্রী মুক্তা, কবির ওরফে গাজা কবির। অভিযোগ উঠেছে, পলাশ নিজেই আড়ালে বসে মাদক ব্যাবসা পরিচলনা করে আসছে। প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে দেদারছে এ মরন নেশা চালিয়ে যাচ্ছে পলাশ। সুত্র বলছে, কাশিপুর ইছাকাঠী প্রধান সড়কে সন্ধা থেকে গভির রাত পর্যন্ত চলছে ইয়াবা ব্যাবসা। গোপন সুত্রে জানা যায়, মৃত হারুন এর পুত্র পলাশ তার স্ত্রী মুক্তা, কবির ওরফে গাজা কবির দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছে। একইভাবে কাশিপুরে বিভিন্ন স্পটে পুলিশের মদদেই মাসিক মাসোয়ারার মাধ্যমে মাদকের রমরমা ব্যানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। তাদের বিভিন্ন স্থানে হলো,কাশিপুর বাজার, সুপারি বাগান, দেলোয়ারের চায়ের দোকান, মরিয়মের চায়ের দোকান, মিতালি হাউজিং, খ্রিষ্টান কলোনির স্কুল , চাপরাশি বাড়ির স্কুলের পিছনের ড্রেন এর মাথা, বাঘিয়ার কোলাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবারহ করে থাকে। কাশিপুর ইছাকাঠী প্রধান সড়কের খান বাড়ির মৃত হারুন’র পুত্র পলাশ। অভিযোগ উঠেছে, ওই এলাকার ভাড়াটিয়া আলফা চালক সিদ্দিকের শ্যালক জাফর সে সাতক্ষীরা থেকে ইয়াবা নিয়ে আসেন এবং পলাশ তা বিক্রি করার জন্য একই এলাকার দশম শ্রেনীর ছাত্রকে বলে থাকেন, বিক্রি করতে না চাইলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। এমনকি কি তার বাবা, মাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। অভিযোগ উঠেছে, পলাশের বাসায় অনেকবার পুলিশের অভিযানে মেলেনি মাদক! প্রশ্ন থেকে যায় সেখানে কারন দশম শ্রেণীর ভ্যাস মতে গত দু’দিন আগেও ইয়াবার বড় চালান পলাশ বাসায় রাখে জাফর এবং পলাশের কথা অনুযায়ী গাজা কবিরের বাসায় বসে ছোট আকারে পলিথিনে প্যাকেট করা হয়। পলাশ তার কর্মস্থানে গেলেও ইয়াবা বিক্রি জন্য তার স্ত্রী মুক্তা বেরিয়ে পরেন তবে রাস্তার পাশে ঘর থাকায় ইয়াবা বিক্রি করতে সম্যসা হয় না বলে নিশ্চিত করেছে বিস্বস্ত সুত্র। অন্যদিকে কাশিপুর বাজার, সুপারি বাগান সহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাইকরি সেল দিয়ে থাকে এসব চক্র। এদের কোন সহযোগী মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের হাতে আটক হলে দ্রুত ছুটে যায় মাদক স¤্রাট পলাশ। পুলিশে কাছ থেকে আসামী ছাড়িয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে পলাশ। এমতাঅবস্থায় ওই এলাকায় ‘পুলিশের দালাল কাদের’ আখ্যা পেছে সে। এ বিষয় সাবেক ইউপি সদস্য কাদের মেম্বার এই প্রতিবেদককে জানায়, “পলাশকে আমি অনেকবার বারন করেছি মাদক ব্যবসা করতে কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি। এবং তার পরিবারের কাছে এ বিষয়ে একাধিকবার বলা হয়েছে যাতে তারা পলাশকে এ খারাপ কাছ থেকে তারা বিরত রাখে।” এদিকে পলাশ ওরফে লাইটিং পলাশের হাত থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net